• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

তীব্র তাপদাহে বিপাকে মানিকগঞ্জের মরিচ চাষিরা

  • ''
  • প্রকাশিত ০৫ মে ২০২৪

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সারাদেশে অব্যাহত তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কৃষিক্ষেত্রেও এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। ফলে, চলতি মওসুমে মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপেজলায় কয়েক হাজার মরিচ চাষি চরম বিপাকে পড়েছেন বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। শুধু মরিচ খেতই নয়, তীব্র খরায় মরিচের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল ও সবজিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলাসহ কয়েক এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র গরম এবং প্রখর রোদের কারণে মরিচ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। ভোরবেলা থেকেই ফসলের মাঠ গরম থাকছে। তীব্র খরার কারণে মাঠের জমি ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। এছাড়া, পানি স্বাভাবিক স্তর এর চেয়ে অস্বাভাবিক নিচে নেমে যাওয়ায় কারণে কোথাও কোথাও নলকূপেও পানি উঠছে না। এতে, কৃষকরা বোরো ধানে ঠিক মতো সেচ দিতে পারছেন না। এছাড়া, ঘন ঘন লোডশেডিং থাকায় সেচ মেশিন দিয়েও ঠিক মত পানি দিতে পারছেন না বলে তারা অভিযোগ করেন। ফলে, ধানে চিটা হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করছেন তারা। বিশেষ করে, মরিচ চাষিরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়েও স্বাভাবিক রাখতে পারছেন না। তীব্র খরার কারণে মরিচের ফুল ঝড়ে পরছে। গাছ লালচে হয়ে মরিচের গাছ মরে যাচ্ছে। এর ফলে, মোটা অংকের লোকসানের শঙ্কায় রয়েছে তারা।

শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দী গ্রামের মো: ইব্রাহিম জানান, প্রচুর খরায় মরিচ গাছে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেশিন দিয়ে পানি দিয়েও মরিচ গাছ সতেজ রাখতে পারছি না। এর ফলে গাছ মরে যাচ্ছে। এছাড়া, অনেক গাছের ফুল যাচ্ছে। এভাবে খরা থাকলে ফলনে অনেক ক্ষতি হবে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে খরিপ-১ এর জরিপে মরিচ আবাদে মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত ২৩৫ হেক্টর অর্জন করা হয়েছে। বর্তমান এ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ৯০/১০০ টাকা কেজি দরে পাইকারী বাজারে মরিচ বিক্রি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি অফিস উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, সারাদেশে চলমান প্রচন্ড তাপদাহে মাঠে মরিচ, তিল, ছোট পাটের গাছ, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ফলনে বিরূপ প্রভাবের শঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সবচেয়ে বেশি মরিচ গাছের ক্ষতি হতে পারে। এই অবস্থায় কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন ব্লকে উঠান বৈঠকের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া, কৃষি অফিসের মাঠকর্মীদের নিজ নিজ ব্লকে উপস্থিত থেকে মাঠ ফসলের মনিটরিংসহ সার্বক্ষনিক কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads